ষাটোর্ধ্ব মানুষ এবং ফ্রন্টলাইনার হিসেবে যারা কাজ করছেন তাদের করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর একটি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক টিকাদানের মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ শুভ্র সেন্টারে পিঠা-পুলি উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বুস্টার ডোজ দেয়ার যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফাইজার দিয়ে শুরু হবে বুস্টার ডোজ।
জাহিদ মালেক জানান, দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ এবং প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে বুস্টার ডোজ দেয়ার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং পরে এর আওতা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে।
প্রায় পাঁচ কোটি টিকা এ মুহূর্তে সরকারের হাতে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুস্টার ডোজ কারা পাবেন? ফ্রন্টলাইনার হিসেবে কাজ করা ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিকরা বুস্টার ডোজ পাবেন।
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ যাদের নেয়া হয়েছে তাদেরই একটি নির্দিষ্ট সময় পর তৃতীয় ডোজ নিতে হবে এবং এটিই বুস্টার ডোজ।
তবে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার কত দিন পর বুস্টার ডোজ নেয়া হবে এবং প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে যে টিকা দেয়া হয়েছিল সেটিই তৃতীয় ডোজ হিসেবে দেয়া হবে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।
দেশে এ মুহূর্তে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না ও সিনোভ্যাক টিকা দেয়া হচ্ছে।