ইদানিং রিপোর্টঃ- ফরিদপুরের শারদীয় দূর্গা উৎসবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সব ধরনের অপতৎপরতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক ভূমিকায় থাকবে, প্রতিটি মন্দিরের কমিটি কে সক্রিয়তার পাশাপাশি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করতে হবে। যাতে এই উৎসবটি সার্বজনীন রূপ নেয়। বৃহস্পতিবার ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ কথা বলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্লা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালিদ, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, উস্থানীয় সরকার বিভাগের উপ- পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াসিন কবির, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী সিদ্দীকি, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিধান সাহা, সহ-সভাপতি ডা. অপু সাহা, শহর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর্মকারসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন, ফরিদপুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি জেলা। আর তাই আমরা আবহমান কাল ধরে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান একসাথে বসবাস করে আসছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, বিগত দিনের মত এ বছরও শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে রাত বারোটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত প্রত্যেকটা মন্দিরের সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া প্রতিটি মন্দিরে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে, কোন মন্দিরে অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া গেলে আমাদের জানাবেন আমরা ব্যবস্থা নিব। এবার ফরিদপুরে ৭২৮টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালিত হবে। গত বছর এ জেলাতে ৮০৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।