ইদানিং রিপোর্টঃ- ফরিদপুরে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার আইনের মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা রাজিব হোসেন রিহাদকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজবাড়ী জেলা সদর থেকে তাকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে রিহাদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজিব হোসেন রিহাদ ফরিদপুর সদরের ভাজনডাঙ্গা এলাকার কাদের শেখের ছেলে। রিহাদ ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুসারী ছিলেন। রাজিব হোসেন রিহাদ ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন মামলা তদন্তকারীর কর্মকর্তা এস আই ফাহিম ফয়সাল। তিনি বলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হোসেন মিঠু গত ২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার ১৬ নং আসামী রিহাদ। গোপন তথ্যে রাজবাড়ি সদর থেকে ভোর সাড়ে ৬ টায় তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে রিহাদকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এই মামলার অন্য আসামীদেরও আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদী মো: মোজাম্মেল হোসেন মিঠু বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ফরিদপুরের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছিল। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু সহ একাধিক ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতারা আমার কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয় আমার ওপরে শারীরিক নির্যাতন ও মারপিট করে জখম করে। তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ তারা রিহাদকে আটক করেছে। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করব দ্রুততার সহিত বাকি আসামিদের আইনের হেফাজতে আনার জন্য।